ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন।
বর্তমান পৃথিবীতো পুরোদস্তর মার্কেটিং নির্ভর। প্রযুক্তি এতটাই বিস্তৃত এখন যে একজন ব্যবসায়ী বা একজন উদ্যোক্তা চায় তার পণ্য বা সেবা যেনো অধিক পরিমাণে ভোক্তার কাছে পৌঁছায়।কারণ ব্যবসায় সাফল্যতার মূল মন্ত্র হলো প্রচারণা। প্রচারণা যত বেশি হবে প্রসার ঘটবে তত বেশি। সময়ের সাথে সাথেই এই প্রচারণাও আধুনিক রূপ নিয়েছে। আধুনিক প্রচারণা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিভাবে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারব।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে যেমন -মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে প্রচারণা করা হয় তাকেই সহজভাবে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পারি। শুধুমাত্র ব্যবসায় প্রচারের জন্যই নয় বিভিন্ন ধরনের সেবা বা নতুন কিছু শুরু করতে গেলেও প্রচারণার দরকার আছে। বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ তাই প্রচারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং হল অন্যতম মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন?
বর্তমান বিশ্বে ৮০০ কোটির মত জনসংখ্যা রয়েছে। এদের প্রায় ৪৯৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। প্রতিবছর এ ব্যবহারকারী সংখ্যা বাড়ছে চার শতাংশ করে। 4G নেটওয়ার্ক জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও 5G নেটওয়ার্ক শুরু হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি বেড়েছে। এদের মাঝে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে সক্রিয়ভাবে, মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচার বাড়ানোর মাধ্যমেই এর প্রসার ঘটানো সম্ভব। ২০২৬ সালের মাঝে এর পরিধি আরও ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল সমূহ:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কৌশলগুলো অবলম্বন করে আপনি সহজেই একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল :
- ১| সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ২| সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ৩| ইমেল মার্কেটিং
- ৪| অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ৫| পিপিসি মার্কেটিং
- ৬| কনটেন্ট মার্কেটিং
- ৭| ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং।
চলুন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই কৌশল সমূহের ক্ষুদ্র পরিসরে ধারণা নিয়ে নেই।
১| সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন :
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি বিষয় যা নির্দিষ্ট কোন পণ্য বা সেবা বিষয়ে ব্রাউজ করা মাত্রই জেনে যাই।
এখানে গুগল, ইয়াহু, বিং, এর মত সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে নিজের পণ্য বা সেবা সবার প্রথমে নিয়ে আসাটাই হল ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন বা এসইও। নিজের পণ্য বা সেবা সার্চের প্রথমে নিয়ে আসতে বাধ্য করবে এসইও। এতে করে ওয়েবসাইট ডেভেলপ
করার ব্যাপারে বেশ কিছু ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও পে মার্কেটিং এর মাধ্যমেও প্রথম পেইজে নিয়ে আসবে
এটাকে
এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংও বলে।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক জেনারেট করার জনপ্রিয় মার্কেটিং স্ট্যাটেজি হচ্ছে এসইও।
২| সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :
একজন ব্যক্তি গড়ে ৩৫ মিনিট এরও বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটিয়ে দেয়।কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি ও প্রচারণার
জন্য
সোশ্যাল মিডিয়াকে একটি বড় মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং
একটি বড় প্ল্যাটফর্ম সবার কাছে। পোস্ট শেয়ার ও বুস্টিং এর মাধ্যমেও প্রচার বাড়ানো সহজ হয়ে গেছে।
৩| ইমেইল মার্কেটিং :
ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরনো কিন্তু কার্যকরী উপায় হল ইমেইল মার্কেটিং। কিন্তু সাধারণত আমরা যেভাবে ইমেইল
মার্কেটিং
করি সেটা কিন্তু ইমেইল মার্কেটিং নয়। সহজ ভাবে বলতে কোন পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট ছবি, তথ্য বা
অফার
ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে যে মার্কেটিং করা হয় তাই ইমেইল মার্কেটিং।
৪| অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
কোন পণ্য বা সেবা কমিশনের ভিত্তিতে যে মার্কেটিং বা প্রমোশন করা হয় তাকে এফিলিয়েট মার্কিন বলে। এর পরিবর্তে
বিক্রয়ের জন্য লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন, এটি মূলত ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল,ওয়েবসাইট এছাড়া ও পেইজ বা প্রোফাইল এর
মাধ্যমে
মার্কেটিং করা হয়। মূলত বিক্রয় বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সাহায্য করে থাকে।
৫| পিপিসি মার্কেটিং :
পিপিসি এর ফুল মিনিং পে পার ক্লিক। ওয়েবসাইডে ট্রাফিক জেনারেট করতে যারা মার্কেটিং করে থাকে তাদের জন্য এটি
একটি
উপযোগী মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে এর যোগসূত্র রয়েছে। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এটি একটি নির্ভরযোগ্য
পদ্ধতি।পন্য বা সেবা প্রচারের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে অর্থ প্রদান করে থাকেন।
৬| কনটেন্ট মার্কেটিং :
কনটেন্ট বলতে আমাদের মাথায় প্রথমে আসে লেখা কোন কিছু। কিন্তু এটা শুধু বর্তমান যুগে লেখার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই
লেখার
পাশাপাশি ছবি, ভিডিও কনটেন্ট ও ব্যাপক জনপ্রিয়। এটি এমন একটি বিষয় যেখানে নিজে প্রশংসা নিজেকেই করতে হবে এবং
অন্য
কেউ ডেকেও বলতে হবে মার্কেটিং এর জগতে এটি এখন ভীষণভাবে কার্যকরীও। নিজে লিখতে না পারলেও ব্লগ লেখকদের দিয়ে
হলেও
পণ্য বা সেবার ব্যাপারে কন্টেন্ট লিখিয়ে নেওয়া যায়।
৭| ই কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং :
দূরত্ব ও সময়ে সীমাবদ্ধ ছাড়াই ইলেকট্রন ডিভাইসের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়, বিক্রয়, অর্থ স্থানান্তর করার
প্রক্রিয়ায় হচ্ছে ই কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং। ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে টার্গেট অডিয়েন্স সনাক্ত করে খুব
সহজেই পণ্য বাসে বা পৌঁছে দেওয়ার সম্ভব এই ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে, আর এটা খুবই জনপ্রিয় একটি
মাধ্যম।
ডিজিটাল বিশ্বের ডিজিটাল সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু প্রয়োজন সঠিক নিয়ম মেনে
সফলভাবে কাজ করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি সেক্টরে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল,এ কৌশল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
জানতে আপনি যুক্ত হতে পারেন নকরেক আইটি ইনস্টিটিউট ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স এ। এখানে
দক্ষ
ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
তাহলে আর দেরি কেন চলে আসুন নকরেক আইটি ইনস্টিটিউট এ।